ভুয়া খবর চিহ্নিত করবে সরকারি সংস্থা, ভারতীয় সম্পাদকদের উদ্বেগ
কোনটি ভুয়া খবর আর কোনটি নয় তা নির্ধারণে ভারত সরকার যে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া (ইজিআই)।
ভারত সরকার নতুন যে নিয়ম করতে যাচ্ছে তাতে কোন খবরটি সত্যি আর কোনটি মিথ্যা তা নির্ধারণের পুরো ক্ষমতা পাবে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)। আর এর ফলে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ইজিআই।
এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া বিবৃতিতে দিয়ে বলেছে, কোনটা ভুয়া খবর, কোনটা নয়, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা যদি নিরঙ্কুশভাবে শুধুমাত্র সরকার অর্থাৎ সরকারি সংস্থার হাতে থাকে তাহলে তা সংবাদমাধ্যমের সেন্সরশিপে পরিণত হবে। যা একরকমভাবে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের স্বরূপ।
গিল্ডের যুক্তি, ভুয়া খবর বা ভুয়া কনটেন্ট থেকে জনতাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য একাধিক আইন তৈরি করা হয়েছে। জাল খবর, ভুল খবর প্রমাণিত হলে তাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক পন্থা আছে। কিন্তু নয়া সংশোধিত প্রক্রিয়ায় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা চলে যাবে পিআইবির হাতে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ সহজ হয়ে যাবে। একইসঙ্গে খর্ব হবে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা।
— Editors Guild of India (@IndEditorsGuild) January 18, 2023
সংগঠনটি আরও বলছে, পিআইবি অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা প্রদত্ত যেকোনো এজেন্সি ফ্যাক্ট চেকের নামে সরকারের স্বার্থবিরুদ্ধ বা সরকারবিরোধী খবর মুছে ফেলতে বা নামিয়ে নিতে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, এই সংশোধন কার্যকর হলে বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ ছাড়া কেন্দ্রের হাতে দেশের যেকোনো প্রান্তে, যেকোনো মাধ্যমে, যেকোনো প্রকাশিত সংবাদকে ব্লক, ডিলিট বা সংশোধন করার ক্ষমতা থাকবে। একইসঙ্গে প্রয়োজন ছাড়াই ডিজিটাল মিডিয়ার খবরে একাধিক যুক্তিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষমতাও আসবে। সবমিলিয়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব ও সরকারি নিয়ন্ত্রণের আশঙ্কা প্রকাশ করে এই সংশোধনের তীব্র বিরোধিতা করেছে গিল্ড।
এনএফ