শহীদ সাংবাদিকদের নামে দক্ষিণ সিটির ১৩ সড়কের নামকরণের দাবি
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) ১৩ জন সদস্যের নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি সড়কের নামকরণের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে নগর ভবনে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে এ দাবি জানান ডিইউজে নেতারা।
সাক্ষাৎকালে লিখিত দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পাঠ করেন ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাংবাদিকদের অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ১৩ জন সদস্যের নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি সড়কের নামকরণ করা এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে আরও কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয় স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়।
জবাবে মেয়র তাপস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন। সড়ক নামকরণ সিটি করপোরেশনই করে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিকদের নামে সড়কের নামকরণের মাধ্যমে তাদেরকে আমরা এটুকু সম্মান দেখাতেই পারি। ওনারা এটুকু সম্মান পাওয়ার দাবিদার। এতদিন নামকরণ হয়নি, সেটাই দুঃখজনক। যেহেতু সড়কের নামকরণে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে, সেহেতু এ প্রক্রিয়ায় করপোরেশনের অংশটুকু আমরা দ্রুতই শেষ করতে পারব। আশা করি, আপনাদের সকলের সহযোগিতায় করপোরেশনের বাইরে 'সড়ক নামকরণে সম্পৃক্ত' বাকী অংশীজনদের কাছ থেকেও এ প্রক্রিয়ার বাকী অংশ দ্রুত শেষ করতে পারব।
এসময় ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, আপনার পিতা শেখ ফজলুল হক মণি সাংবাদিক সমাজকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। আমি মনে করি, শেখ ফজলুল হক মণির যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে সাংবাদিকদের কল্যাণ সাধনে আপনারও কিছু দায় ও দায়িত্ব রয়েছে।
জবাবে মেয়র তাপস বলেন, আমি নিজেও সাংবাদিক পরিবারের সন্তান। আমি আপনাদের পরিবারেরই একজন। সেজন্য সাংবাদিকদের কল্যাণে আমি আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকব।
মতবিনিময়কালে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, দুলাল খান, সলিমুল্লাহ সেলিম, আসাদুর রহমান, মহিউদ্দিন পলাশ, সফিকুল করিম সাবু, সফিক বাশার প্রমুখ।
এএসএস/এমজে