মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিচল ছিলেন প্রয়াত আতিকউল্লাহ খান
জনকণ্ঠের প্রয়াত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান ছিলেন চেতনার বাতিঘর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিচল থেকে আমৃত্যু মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে জাতি একজন লড়াকু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষকে হারাল।
শনিবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে জনকণ্ঠ ইউনিট ও দৈনিক জনকণ্ঠ সাংবাদিক কর্মচারী ঐক্যপরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ম্মরণ সভায় এসব কথা বলেন বক্তরা। স্মরণসভার শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অন্যতম প্রতিষ্ঠান দৈনিক জনকণ্ঠ। এই প্রতিষ্ঠানে মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের প্রাণ খুলে লেখা ও বলার জায়গা করে দিয়েছেন সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিচল ছিলেন। অথচ দুঃখের বিষয় তাকে ভুল বুঝিয়ে ভেতরে থাকা একটি দুষ্টুচক্র অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী গণমাধ্যমকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে ছাঁটাই করেছে। মূলত এ কারণে আমরা জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জনকণ্ঠ যেভাবে ভূমিকা পালনের কথা ছিল তা দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, পত্রিকার ভেতরে ষড়যন্ত্রকারীরা যতদিন থাকবে ততদিন এই পত্রিকাটি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। তারা দৈনিক জনকণ্ঠকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, সাংবাদিকতায় এখন নিরপেক্ষতায় জায়গা থেকে কাজ করা কঠিন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ড, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, হেফাজতের তাণ্ডব সব মিলিয়ে একটি আদর্শিক ধারায় থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ছাড়া ভারসাম্যের সাংবাদিকতার সুযোগ কমে গেছে।
ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, জনকণ্ঠের প্রশাসনের ষড়যন্ত্রের শিকার ২৬ প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিক। তারাই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লেখনীর মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারেন। যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন পত্রিকাটির সম্পাদক।
জনকণ্ঠের ইউনিট চিফ ও সিনিয়র রিপোর্টার রাজন ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট (বোয়াফ) সভাপতি কবির চৌধুরী তন্ময়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাংবাদিক ফিরোজ মান্না, বিভাষ বাড়ৈ, মিথুন আশরাফ, গাফফার খান চৌধুরী প্রমুখ।
এসকেডি