সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিল পরিশোধের আহ্বান
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে সংবাদপত্রের পাওনা সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিল পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম। শনিবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদ ও আহ্বায়ক কমিটির পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে বিরাজমান মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো গণমাধ্যমও মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতেও গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) তাদের উপর অর্পিত জাতীয় দায়িত্ব পালন করে আসছে। গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয়ংকর পরিবেশে দেশ ও মানুষের স্বার্থে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপে মানুষের জীবন ও জীবিকা নিরাপদ, চলমান ও গতিশীল রয়েছে। এই করোনা ও লকডাউনের মধ্যে সম্মুখসারির যোদ্ধা সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা এবং বিপুলসংখ্যক অসহায় মানুষকে সহায়তা প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
আরও বলা হয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি আবারও এলোমেলো হয়ে পড়েছে। সরকার অত্যন্ত কৌশলী ভূমিকা গ্রহণ করে বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে সংবাদপত্র ও টিভি মিডিয়াকে মারাত্মক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি অফিস ও ডিএফপির কাছে সংবাদপত্রগুলোর বিপুল পরিমাণে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিলের অর্থ দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে। ঈদের আগে জরুরি ভিত্তিতে এইসব বকেয়া বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিল পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে গণমাধ্যমে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের বিল পরিশোধে, ডিএফপি ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে তাগিদ দিয়ে আসন্ন বিপর্যয়ের হাত থেকে গণমাধ্যমকে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আমাদের কুমিল্লা সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ জার্নাল সম্পাদক শাহজাহান সরদার, বাংলাদেশের খবর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভোরের ডাক সম্পাদক কে.এম. বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ পোস্ট সম্পাদক শরিফ সাহাবুদ্দিন, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি