গণমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা, আইনের শাসনের পরিপন্থী : বিএসআরএফ

সন্ত্রাসীদের গুলিতে জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রাণ হারানোর ঘটনায় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউএজ সম্পাদক, প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএসআরএফর সভাপতি মাসউদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো সংবাদ মাধ্যম। সেই গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
বিএসআরএফ নেতারা বলেন, একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে গণমাধ্যমকে প্রতিপক্ষ বানাতে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক, মর্মান্তিক এবং ন্যক্কারজনক।
বিএসআরএফ মনে করে, ওসমান হাদী একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের উপরে হামলা করেছে তারা হাদির অনুসারী না, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এইসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল ১৮ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এসময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকা পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস।
এসএইচআর/বিআরইউ