করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ডিইউজের ১০ দাবি
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। শনিবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান।
বিবৃতিতে দুই সাংবাদিক নেতা বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বিস্তার ঘটায় সংবাদপত্র, টেলিভিশন, ডিজিটাল নিউজ পেপার, বার্তা সংস্থার সাংবাদিকদের কর্তব্য পালন হুমকির মুখে পড়েছে। বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমে বেতন-ভাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাদি অনিয়মিত। স্বাস্থ্যঝুঁকির মোকাবিলায় নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পরিবহন সুবিধাও নিশ্চিত করেনি অনেক প্রতিষ্ঠান। তারপরেও দর্শক ও পাঠক চাহিদা, প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখা এবং রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে সংবাদিকরা কর্তব্য পালন করছেন। বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে সংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রকে চিন্তা করতে হবে।
ডিইউজের ১০ দাবি
১. যদি রাষ্ট্র ও সংবাদমাধ্যমের মালিকানা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ, স্বাস্থ্যঝুঁকির নিরাপত্তা ও পরিবহন সুবিধা প্রদান করতে না পারে, তাহলে কোনো অবস্থায় সাংবাদিকদের কাজে বাধ্য করা যাবে না।
২. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সরকারকে বহন করতে হবে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
৩. ফ্রন্টলাইনার হিসেবে অন্য পেশাজীবীদের সমপরিমাণ প্রণোদনা সরকারকে প্রদান করতে হবে।
৪. ভয়াবহ সংক্রমণের এ সময়ে সগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিউজ শেয়ারিংয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং কম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট পরিহার করতে হবে।
৫. ঝুঁকি কমিয়ে আনা ও অফিসের অন্য সহকর্মীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পথে-ঘাটে-মাঠে দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকের জন্য সুরক্ষিত আলাদা নিভৃত বার্তাকক্ষের (আইসোলেশন নিউজরুম) ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সাংবাদিকদের কাজে পাঠানোর আগে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. দুর্যোগের সময়ে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা না থাকায় অফিসের অভ্যন্তরে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৮. দুর্যোগকালীন কর্মরত সাংবাদিকদের ঝুঁকি ভাতা প্রদান করতে হবে। নিকট অতীতেও হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনকারীদেরও ঝুঁকি ভাতা প্রদান করা হতো।
৯. করোনাকালে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। অবিলম্বে বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
১০. করোনাকালে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল করতে হবে। করোনাকালে সবধরনের সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে।
পিএসডি/এসকেডি