দক্ষিণ সিটির অভিযানে ৩৫ শতক জমি উদ্ধার, ২ জনের জেল

যাত্রাবাড়ীর চন্দনকোঠায় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে অভিযান চালিয়ে ৩৫ শতক জমি উদ্ধার করার পাশাপাশি দুজনকে সাত দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচজনকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
রোববার দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ সিকদার ও করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান অভিযান দুটি পরিচালনা করেন।
ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ সিকদারের নেতৃত্বে করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার যাত্রাবাড়ীর চন্দনকোঠা পঞ্চায়েত কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ, বউ বাজার ও আশপাশের অন্যান্য এলাকা হতে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযানে একটি অবৈধ ঢালাই কারখানা, অবৈধ কাঁচাবাজার ও ২০টি অবৈধ আধা-পাকা বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ থেকে সব মিলিয়ে ৩৫ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়। পরে অভিযানে পাওয়া অবৈধ মালামাল স্পট নিলামে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এ সময় ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন উপস্থিত থেকে সার্বিক নির্দেশনা দেন।
অন্যদিকে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে নগর ভবনের উল্টোদিকের রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে আদালত অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে পথচারী চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে অস্থায়ী দোকান করায় দিপু ও মাসুদ রানা নামে দুজনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ নম্বর ধারায় সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও মোহাম্মদ ফারুক কাজী ও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নামে দুজনকে পাঁচ হাজার করে, মোহাম্মদ রবিনকে এক হাজার, সবুজকে দুই হাজার এবং কামাল নামে এক ব্যক্তিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে এবং চলমান থাকবে।
এএসএস/আরএইচ