বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রপ্তানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত

বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রপ্তানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত। এর আওতায় নেপালে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন সার রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল সংযুক্তি) সংযোগ এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার এক বিরাট অগ্রগতি হিসেবে দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রপ্তানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত।
ভারতীয় হাইকমিশন বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমদানি করা সার নেপালে পাঠানো হচ্ছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালে রপ্তানি করা সার বোঝাই ট্রেন ভারতীয় রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে রেলওয়ে ট্রানজিট ব্যবহার করে নেপালে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন সার রপ্তানি করা হবে।
হাইকমিশন জানায়, রেলপথে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট মূলত দুটি ভারত-বাংলাদেশ ক্রসিং পয়েন্ট, রহনপুর (বাংলাদেশ)–সিঙ্গাবাদ (ভারত) এবং বিরল (বাংলাদেশ)–রাধিকাপুর (ভারত) রেলপথ হয়ে পরিবহন করা হয়।
ভারতীয় হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ থেকে নেপালে পণ্য রপ্তানি করা হয় এবং অন্যান্য দেশ থেকে নেপালের আমদানি করা পণ্যগুলো ভারতীয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ‘ট্রাফিক ইন ট্রানজিট’ হিসেবে পরিবহন করা হয়।
নেপালের সঙ্গে রপ্তানি ও স্থল বাণিজ্যের জন্য ভারত বিশেষভাবে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে আসছে। এ পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে মনে করছে ভারতীয় হাইকমিশন।
সূত্র বলছে, এ ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে নেপালে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন সার রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। হিমালয় বেষ্টিত দেশটি সাধারণত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর হয়ে তৃতীয় দেশ থেকে সার আমদানি করে। তবে গত বছরের শেষের দিকে হঠাৎ দেশটিতে ইউরিয়া সারের সঙ্কট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনেছে নেপাল।
এনআই/এমএইচএস