যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন গ্রেপ্তার

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও রাজধানীর মিরপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৭টায় রাজধানীর পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ ২৭টি মামলা রয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে বলে তথ্য পায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
বিষয়টিতে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম। চক্রটির সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে পুলিশ। সোমবার সকালে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশের রাস্তা থেকে সন্দেহজনক হিসেবে মফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি মফিজুর রহমান মামুন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দুটি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তার মফিজুর রহমান মামুন এক সময়ে মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ২০০১ সালে কিছু দিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত গমন করেন। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হয় এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করেন। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মফিজুর রহমান মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন।
গ্রেপ্তার মামুন বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করতেন। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। শুধু মামুন নন, তার আপন দুই ভাই মজিবর রহমান জামিল, মশিউর রহমান মশুর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। মামুনকে ইতোমধ্যেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেইউ/এফআর