প্রকল্প মূল্যায়নে কোনো খাতির চলবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকল্প মূল্যায়নে কোনো খাতির করা চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘২০২০-২১ অর্থবছরে নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত’ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চলতি অর্থবছরে ২২টি প্রকল্প নিবিড় পরিবীক্ষণের জন্য এবং ৮টি প্রকল্প প্রভাব মূল্যায়নের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। বিশদ এই মূল্যায়নের জন্য নিযুক্ত ফার্মগুলোর প্রধানদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে যারা সহায়তা করেন, তাদের মধ্যে অনেকে অবসর নিয়েছেন। সারাজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ কাজে এসেছেন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে অত্যন্ত ক্ষুরধার প্রতিবেদন প্রত্যাশা করি। আপনাদের রিপোর্টের মাধ্যমে যেন আমরা নিজেরা শিখি, বুঝি এবং নিজেদের সংশোধন করি।’
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সম্পর্কে বাজারে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আপনারা সবকিছু দেখেন, আমাদের মতো বোবাকালা নন। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আপনাদের দায়িত্ব গুরুত্বসহ বিবেচনা করা হয়। প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। পিডিদের আরও সক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাদের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে চলার পথের বাধাগুলো সরিয়ে ফেলার চিন্তা-ভাবনাও চলছে। সরকার হয়তো নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবে, কিন্তু কোনকিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সব করা হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশেই সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকারের কোনো কোনো কর্মকর্তা একাই একাধিক প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন। এমনকি ১৪টি প্রকল্পের দায়িত্বেও রয়েছেন একজন পিডি। একজন পিডি একাধিক প্রকল্পের দায়িত্বে থাকার এই অবস্থাকে সম্প্রতি ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আসা অভিযোগের বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘সব কাজে আমাদের অবশ্যই ফেয়ার মাইন্ডেড হতে হবে। আমার কাছে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসে। পড়ে মনে হয় যে, আবেগে, রাগে, ক্ষোভে লিখেছে। তবু তার কথা শুনতে হবে। তখন বিধি অনুযায়ী বিবেচনার জন্য বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সচিবের কাছে পাঠাই, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটে (সিপিটিইউ) পাঠাই। ব্যক্তিগতভাবে যারা আমাদের কাছে আসবে, তারা যেন ফিল করে সভ্য, আইনগত প্রতিষ্ঠানে এসেছে। যেটা আইন দিয়ে চলে। বিরক্ত হলেও একবার, দুবার বিস্তারিত শুনতে হবে। কেন তার পয়েন্টটা ঠিক নয়, বুঝিয়ে বিদায় করতে হবে। রাগারাগি করব না। এগুলো আমাদের সার্বক্ষণিক করা দরকার।’
এসআর/জেডএস