মামুনের মিষ্টি শিঙাড়ায় দৃষ্টি সবার

শিঙাড়া। ঝালের বদলে মিষ্টি! এতেই বাজিমাত। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিঙাড়াপ্রেমীরা ছুটছেন মামুনের দোকানে। আয়েশ করে খাচ্ছেন। আর পাড়ামহল্লায় ফিরে গিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সুনাম।
মামুনের শিঙাড়া দোকানটি পুরান ঢাকায়। কবি নজরুল সরকারি কলেজের সামনে একটি ভ্যানে। মিষ্টি সিঙারা ও জিলাপি বিক্রি করেই মামুন এখন স্বাবলম্বী। সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে। সেইসাথে এসেছে ক্রেতাদের সুনাম ও প্রশংসা।
যেভাবে মিষ্টি সিঙারা তৈরি করা হয়
প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণমতো সুজি নেওয়া হয়। এরপর সুজির সঙ্গে মিষ্টি সিরা মিশিয়ে আঠালো করে কিছুক্ষণ রাখা হয়। তারপর এর সঙ্গে মেশানো হয় কালোজিরা। ময়দার তৈরি সিঙারার খোলসে কালোজিরা মাখানো সুজি ঢুকিয়ে তেলে দিয়ে মৃদু আঁচে পাঁচ মিনিট রাখলেই হয়ে যাবে গরম গরম শিঙাড়া।
মিষ্টি শিঙাড়া খেতে যাবেন যেভাবে
ঢাকা শহরের সব প্রান্ত থেকেই বাস যায় থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে বাস থেকে নামলেই কবি নজরুল সরকারি কলেজ। এর সামনেই দেখতে পাবেন মামুনের শিঙাড়ার দোকান। প্রতিদিন বিকেলে পাওয়া যাবে মজাদার এই মিষ্টি শিঙাড়া। একটি শিঙাড়ার দাম মাত্র ১০ টাকা।
জনপ্রিয় এ শিঙাড়া ব্যবসায়ী মামুনের ব্যবসা নিয়ে কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমার শিঙাড়া সবাই খুব পছন্দ করছে। এখন তো অনলাইনের যুগ। ভাবছি একটি খাবারের ব্লগ করব। সেখান থেকে মিষ্টি শিঙাড়ার দাম ও তথ্য জানতে পারবেন সবাই। যারা শিঙাড়া খাবেন তাদের রিভিউ নেয়ারও ইচ্ছা আছে।
মিষ্টি শিঙাড়া খেতে আসা ভোজনরসিক সাখাওয়াত হোসেন রাহাত বলেন, এই শিঙাড়ার বিশেষত্ব হলো, ভেতরে যে সুজিতা দেয়া হয় তা অনেক তুলতুলে। তবে স্বাদের সবটুকু পেতে হলে খেতে হবে গরম গরম।
এইচকে