ঢাকা-নয়া দিল্লির সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে উভয়পক্ষ। এ ক্ষেত্রে নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে চায় দুই দেশ।
বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপনের জন্য আয়োজিত লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমন প্রত্যাশার কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্কের সকল বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক উন্নতি ঘটেছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে একাধিক উদ্যোগ কাজ করছে। করোনা সংক্রমণের সময় যখন পুরো বিশ্ব স্থবির তখন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের শীর্ষ পর্যায়ে সফর হয়েছে। যা দুই দেশের সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ গত বছর একইসঙ্গে একটি দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সফর। এটি একটি বিরল ঘটনা। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নতি হয়েছে। সামনের দিকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
দোরাইস্বামী বলেন, সামনের দিনগুলোতে আমরা নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাই। আসন্ন জেসিসি বৈঠকে নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আমরা আলোচনা করব। দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি আরও বাড়বে। সামনে বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণের বিষয়টি উন্মুক্ত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে বুধবার মৈত্রী দিবস উদযাপনের জন্য আয়োজিত লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশা প্রতিযোগিতার বিজয়ী আটজনকে পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতীয় হাই কমিশনার।
গত বছরের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দিন হিসেবে ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দিনটিকে মৈত্রী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এ ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ১৮টি শহরে বাংলাদেশ ও ভারতে যৌথভাবে মৈত্রী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ইতোমধ্যেই আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৈত্রী দিবস উদযাপিত হয়েছে।
মৈত্রী দিবস উদযাপনের জন্য দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ লোগো ও ব্যাকড্রপ নকশার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উক্ত প্রতিযোগিতা বিভিন্ন স্তরে যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। দুই দেশের যৌথ নির্বাচক কমিটির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।
লোগো ও ব্যাকড্রপ প্রত্যেক ক্যাটাগরির নকশার জন্য বিজয়ী প্রতিযোগীদের জন্য পৃথকভাবে ০৮টি করে মোট ১৬টি আকর্ষণীয় সম্মানী পুরস্কার রয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় আটজন বাংলাদেশি প্রতিযোগী মোট নয়টি পুরস্কার এবং সাতজন ভারতীয় প্রতিযোগী সাতটি পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন। ভারতের নয়া দিল্লীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন ও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে শিগগিরই ভারতীয় প্রতিযোগীদের পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
এনআই/এইচকে