মুজিববর্ষকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আল জাজিরার অপপ্রচার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আল জাজিরা এ সময়ে গুজব ও অপপ্রচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন: গণমাধ্যম ও ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সভার আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ফোরাম।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আল জাজিরা এমন সময়ে এ কাল্পনিক কাহিনী ও গুজব প্রকাশ করলো যখন দেশ গর্বের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দেশ। যখন আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে পদ্মা সেতু করছে সরকার। তখন এ অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এটাকে মদদ দিচ্ছে কারা, যারা ৭৫ পরবর্তী অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে লাভবান হয়েছে তারা। আল জাজিরার সঙ্গে জঙ্গি, দুর্নীতিবাজদের সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের উদ্দেশ্যে হলো বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যেতে না পারে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে যারা কলঙ্কিত করেছে, অপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, দেশে গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করছে। মত প্রকাশের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার কখনো পিছপা হবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন। এটা মনে রাখতে হবে, এ আইনের আওতায় কিন্তু সরকারি দলেরও অনেকে সাজা পেয়েছেন। সুতারাং ঢালাওভাবে সরকারকে দোষারোপ করা যাবে না।
ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে যাবে। এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাংবাদিক নেতা আব্দুল জলিল ভুঁইয়া।
সভায় বক্তারা আল জাজিরা প্রতিবেদনের লাইন বাই লাইন প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতেই কেবল এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ সবার পক্ষ থেকে করা উচিত।
এছাড়া গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সাংবাদিকদের সঠিকভাবে বেতন ভাতা দেয় সেই দাবি তুলে ধরেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা শুরুতে দুই-এক মাস বেতন দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বেতন দেয় না। অনেক পত্রিকার সার্কুলেশন নেই কিন্তু তালিকাভুক্ত হয়ে তারা সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে।
একে/এসএসএইচ/এসএম