টিকা নিতে লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষা, আগ্রহীদের ক্ষোভ

চট্টগ্রামের টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড়। প্রতিটি বুথেই দেখা গেছে লম্বা সারি। এতে অনেককে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষার পর টিকা নিতে হয়েছে। লাইনগুলোতে দেখা মেলেনি স্বাস্থ্যবিধির ছিটেফোঁটাও। দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষার কারণে টিকা নিতে আসা মানুষের মাঝে ক্ষোভও দেখা গেছে।
সরেজমিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে দেখা যায়, আজ টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা খুবই বেশি ছিল। এ কারণে কিছুটা অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা যায় এ টিকাদান কেন্দ্রে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে হুড়োহুড়ি শুরু করেন টিকা নিতে আসা আগ্রহীরা, যা এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়। পরে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তবে এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ টিকা নিতে আসা মানুষেরা। টিকা নিতে আসা ৭০ বছর বয়সী আবদুল কুদ্দুস বেলা ১১টার দিকে ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, ‘আমি গতকালও (বুধবার) টিকা নিতে এসেছিলাম। লাইন ধরে গেটের কাছে পৌঁছার পর বলে টিকা শেষ হয়ে গেছে। আজকে আসতে বলছে। আজকে সকাল সাড়ে ৮টায় আবার টিকা নিতে এসেছি। লাইন ধরে গেটের কাছে পৌঁছার পর ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। ধাক্কায় নিচে পড়ে যাই। এতে পায়ে ব্যথা পেয়েছি। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর এক পুলিশ সদস্যের সহায়তায় টিকা নিয়েছি। এত অব্যবস্থাপনা যদি হয় তাহলে কীভাবে হবে? অনলাইনে নিবন্ধন করেছি, সেখানেই সময় ও টিকা গ্রহণের তারিখ দিয়ে দেওয়া দরকার ছিল।’
রানী নামের মধ্যবয়স্ক এক নারী বলেন, ‘মানুষের তুলনায় টিকা দেওয়ার বুথের সংখ্যা কম হয়েছে। আমরা সকাল থেকেই এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। টিকা নিতে এসে মনে হচ্ছে, করোনাভাইরাস ঘরে নিয়ে যাব।’
টিকা নিতে আসা ৭৫ বছরের বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম দীর্ঘক্ষণ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে একপর্যায়ে বসে পড়েন হাসপাতালের সিঁড়িতে। বৃদ্ধদের জন্য পৃথক লাইন করার দাবি জানান তিনি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘আজ টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা বেশি। কিন্তু যারা টিকা নিতে আসবেন সবাই টিকা পাবেন। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১৮ হাজার ৯৯৪ জন।
এফআর