সশরীরে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষার্থীদের

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষা সশরীরে না নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে ক্লাসে উপস্থিতি, অ্যাসাইনমেন্ট, মক টেস্টসহ শ্রেণিকক্ষের সামগ্রিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের কথাও বলছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে দুই বছর সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকায় তারা অনেক পিছিয়ে গেছেন। এ অবস্থায় সশরীরে পরীক্ষা হলে ফলাফল খারাপ হবে এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তনের এ দাবি জানান তারা। এতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ৫০ এর অধিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায়ে চার হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষা পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মানববন্ধনে এমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের টুয়েলভের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, অনলাইনে শেখা অফলাইনে পরীক্ষা এটা হতে পারে না। করোনা মহামারির জন্য বাংলা মিডিয়ামের সিলেবাস কমানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই দেশের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সমস্যার দিকে সরকার নজর দিচ্ছে না। অথচ পরিস্থিতি বিবেচনায় সশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে এভিডেন্স বেইসড (প্রমাণ ভিত্তিক) ফলাফল প্রণয়নের সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, সরকার বললে এভিডেন্স বেইসড মূল্যায়নে তাদের আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবেই ফিজিক্যালি এক্সাম দিতে চাই না। এতে ফলাফল খারাপ হবে। সরকার চাইলেই ফিজিক্যাল এক্সাম না হয়ে প্রমাণভিত্তিক বা পোর্টফোলিও ভিত্তিক মূল্যায়ন সম্ভব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় ফলাফলের এমন মূল্যায়নের নজিরও রয়েছে।
সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী দাইয়ান রাফাজ বলেন, আগামী এপ্রিল থেকে আমাদের পরীক্ষা শুরু। অথচ করোনার জন্য আমাদের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়। অনলাইনে ক্লাস হওয়ায় অনেক বিষয়েই অস্পষ্টতা রয়েছে। এ অবস্থায় এভিডেন্স বেইসড মূল্যায়নের কোনো বিকল্প নেই। গতবছর অ্যাসাইনমেন্ট ও মকটেস্টের উপর নির্ভর করেই এভিডেন্স বেইসড মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এমএইচএন/এসকেডি