দুদক পরিচালক জুলফিকারের মৃত্যুতে শোকবার্তা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মো. জুলফিকার আলীর মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছে দুদক, দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা) ও দুদক বিটের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
বুধবার (৬ এপ্রিল) পৃথক পৃথক পাঠানো এক শোকবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় মো. জুলফিকার আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক এবং দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
অন্যদিকে পরিচালক জুলফিকারকে সৎ, সাহসী ও নির্লোভ কর্মকর্তা উল্লেখ করে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা) সভাপতি মো. মশিউর রহমান বলেছেন, তার মৃত্যুতে দুদক পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এদিকে জুলফিকার আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)। র্যাকের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ সৌরভ এক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। র্যাকের নেতারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুদক পরিচালক মো. জুলফিকার আলী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। সকাল সাড়ে ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দুদক চেয়ারম্যান, কমিশনাররা ও সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী তার জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তার লাশ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জুলফিকার আলী গত ৫ জানুয়ারি বরিশালের বিভাগীয় অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রথম অসুস্থ হন। প্রথমে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ভারতের হায়দ্রাবাদে চিকিৎসা নেন। তিনি দুরারোগ্য লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানাধীন বারইগাঁও গ্রামে। ছোটবেলা কেটেছে ঢাকার মহাখালী এলাকায়। পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে ১৯৯৫ সালে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে উপ পরিচালক ও ২০১৯ সালে পরিচালক হিসাবে পদোন্নতি পান। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
আরএম/আইএসএইচ