নতুন-পুরান ঢাকা মিলেছে বেইলি রোডে

পুরান ঢাকার ঐতিহ্য আর নতুন ঢাকার আভিজাত্য এক হয় বেইলি রোডের ইফতার বাজারে। করোনা পরিস্থিতির পর এবার ফের ইফতার আয়োজন জমজমাট হয়েছে এ রোডে। এবার যেন হারিয়ে যাওয়া জৌলুশ ফিরেছে।
চতুর্থ রমজানে রাজধানীর বেইলি রোডের ইফতারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে খাবারের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বাড়তি। অভিজাত পাড়ার এসব দোকানে শোভা পাচ্ছে নানা আইটেম। ক্রেতারাও বলছেন দাম কিছুটা বেশি। বিক্রেতারা বলছেন কাঁচামালের দাম বেড়েছে। তাই খাবারের দামও বেড়েছে।
বেইলি রোডে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যপূর্ণ ইফতার আইটেমের সঙ্গে নতুন ঢাকার নানা আইটেম বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে চিকেন ঝাল ফ্রাই বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে। চিকেন ফুল রোস্ট ৬৫০ টাকা, চিকেন রোস্ট পিস ১৭৫, বিফ কালা ভুনা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাটন লেগ ফ্রাই ৫৫০ টাকা, গরুর স্পেশাল তেহারি ৩৩০ টাকা, মোরগ পোলাও ২৩০, চিকেন রোল ৮০ টাকা, হালিম পাত্র আকার ভেদে ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রেশমি জিলাপি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর রেজালা ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি, চিকেন সাসলিক ১৪০ টাকা, ফালুদা বড়া ৩০০, দইবড়া ৩০০ টাকা, চিকেন চাপ ১৬০, বিফ চাপ ১৮০ থেকে ২০০, চিকেন টিক্কা ২৫০, মাটন বটি কাবাব ২০০ এছাড়া চিকেন বিরিয়ানি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে বেইলি রোডে ইফতার কিনতে এসেছেন আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, অভিজাত আর পরিচ্ছন্ন ইফতার বাজার বলতে ঢাকার মানুষ বেইলি রোডকেই বুঝে। এখানে যেমন স্বাভাবিক সব ইফতার পাওয়া যায়, তেমনি চেনা না চেনা অনেক ধরনের আইটেমও থাকে এখানে। এবার দোকানের সংখ্যা কিছু কম। তবে আইটেমের কোনো কমতি নেই। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় দাম বেশি।
ইফতার সামগ্রীর দোকানকর্মী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, স্বাভাবিক ইফতারের বাইরে আমাদের আইটেম অনেক বেশি ও ভিন্ন। আইটেম বেশি থাকায় ক্রেতাদের কাছে আমরা বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে আমাদের বেচাকেনা শুরু হয়। গত দুই বছর সেভাবে হয়নি। এবার প্রথম রোজা থেকেই ক্রেতারা আসছেন। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিজাত ইফতার কিনতে সবাই এখানে ভিড় করেন।
একটি দোকানের স্বত্বাধিকারী খোরশেদ আলম বলেন, এবার সব পণ্যের দামই বেশি, আমাদের কেনা, সেটি রান্না করে ফের বিক্রি করা পর্যন্ত যত ধরণের পণ্য লাগে সব কিছুরই দাম বাড়তি এবার। তাই অন্যান্য বারের তুলনায় একই জিনিস কিছুটা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। সব ক্রেতা একই প্রশ্ন করছে দাম এবার বেশি কেন। তখন আমরাও বুঝিয়ে বলছি সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খরচ এবার বেড়ে গেছে। এবার ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো রয়েছে। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে মানুষ ইফতার কিনতে আসছেন।
এএসএস/আরএইচ