সড়কে সড়কে জট, ভোগান্তি চরমে

ছুটির দিন ছাড়া রমজানের প্রতিদিনই সকাল-বিকাল যানজটের একই দৃশ্য দেখছেন রাজধানীবাসী। আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেও সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা গেছে। বিকেলে এ জট আরও বেড়েছে।
রমজানে সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলছে। কিছু বেসরকারি অফিস চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। অফিস সময় শেষ হওয়ার পর থেকে সড়কে যানজটের তীব্রতা বাড়তে থাকে।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়ক, মগবাজার-মহাখালী ও প্রগতি সরণিতে যানজট দেখা গেছে। অন্যদিকে শাহবাগ, ফার্মগেট হয়ে মিরপুর এবং সাইন্সল্যাব, কলাবাগান হয়ে শ্যামলি পর্যন্ত সড়কেও যানজটের খবর পাওয়া গেছে।

অফিস শেষে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে আকাশ সুপ্রভাত বাসে করে কুড়িল যাচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, পল্টন মোড় থেকে কাকরাইল পর্যন্ত এবং শান্তিনগর থেকে ফ্লাইওভারের আবুল হোটেলের অংশ পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগে আছে। এরপর বাড্ডা এলাকায় তো যানজট আছেই। ইফতারির আগ পর্যন্ত প্রতিদিনই এ অবস্থা। একদিনও সময়মতো গিয়ে ইফতারি করতে পারি না।
নীলক্ষেত-নিউ মার্কেট এলাকা থেকে শাহবাগ, মহাখালী ও গুলশান হয়ে নতুন বাজার পর্যন্ত যাওয়া দেওয়ান বাসের চালকের সহকারী (হেলপার) মতিম মিয়া জানালেন, পুরো রাস্তায় খুব ধীরে ধীরে গাড়ি চলেছে। এক সিগনালেই কখনো কখনো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ফলে যাত্রীরা অনেক সময় বাস থেকে নেমে যায়। অতিরিক্ত যানজটের কারণে আমাদের ট্রিপও কমে গেছে।

গাবতলী থেকে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে গুলশান পর্যন্ত আসা এরশাদ আলী বলেন, রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে সকালে অফিসে যাওয়ার সময় এবং বিকেলে অফিস থেকে ফেরার সময় সড়কে যানজট বেশি হয়। ইফতারির আগে আগে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। গাবতলী থেকে গুলশান পর্যন্ত আসতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১ ঘণ্টা বেশি লেগেছে।

যানজটের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়, রাজধানীর প্রগতি সরণিতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মাহফুজুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, রমজান মাসে বিকেল থেকে ইফতারির আগ পর্যন্ত সড়কে যানজট বেশি হচ্ছে, এটা ঠিক। অফিস ছুটি হওয়ার পর সড়কে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে ইফতারির ঠিক আগে সড়কগুলো কিন্তু ক্লিয়ার হয়ে যায়। যেসব সড়কে রিকশা চলাচল করে সেসব সড়কে যানজট বেশি থাকে। কারণ রিকশা অন্য যানবাহনের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত করে।
এএসএস/আইএসএইচ/জেএস