রায়হানের নোটবুকের মাধ্যমে আফ্রিকা থেকে আসে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সপরিবারে দেশে ফেরার সময় নিজের নোটবুকের ভেতরে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক এলএসডি নেয় মোহাম্মদ রায়হান (২৫)। সেই নোটবুক ব্যাগে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার মোবাইল নম্বরে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ওই এলএসডি বিক্রির চেষ্টা করেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদ রায়হান নামে ওই যুবককে খুঁজতে থাকে র্যাব-১০ এর একটি দল। পরে গতকাল শনিবার (৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর কদমতলী থানার মাতুয়াইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ফেনীর সোনাগাজীর কাশমীর বাজার রোডের শহিদউল্ল্যাহর ছেলে।
অভিযানকালে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বর্তমান সময়ের আলোচিত ও ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক এসিড ডাইথ্যালামাইড) মিশ্রিত ৯৬ পিস রঙ্গিন প্রিন্টেড ব্লট পেপার স্ট্রিপ, ৩টি ক্রেডিট কার্ড, ২টি ডেবিট কার্ড এবং একটি করে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স, দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রাইভিং লাইসেন্স, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও নোটবুক।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, ইদানিং মাদক চোরাকারবারি ও মাদকসেবীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রচলিত নয় কিন্তু বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রচলিত এমন কিছু মাদকের ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে আমাদের যুব সমাজ তাতে আসক্ত হচ্ছেন। এ ধরনের মাদক উদ্ধারে র্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় এলএসডিসহ মোহাম্মদ রায়হান নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রায়হান দক্ষিণ আফ্রিকায় টেক্সিক্যাব চালাতেন। গত ২২ মার্চ সপরিবারে বাংলাদেশে আসেন। দেশে আসার সময় তার ব্যাগের ভেতর রক্ষিত নোটবুকে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক নিয়ে আসেন।
অভিযুক্ত রায়হান ডিজিটাল পদ্ধতি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তার ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি সাউথ আফ্রিকার নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা। দেশে তিনি অন্য একটি ফোনের হটস্পট মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।
এই অভিনব কৌশলে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি বিক্রয় করতে এলে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
জেইউ/ওএফ
