ইসির লক্ষ্য সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, আপনারা জানেন যে, রোববার ৩৪টি জেলার ৫৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনিয়ম রোধে প্রতি কেন্দ্রে ৩ থেকে ৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য থাকবেন। অঙ্গীভূত আনসারসহ সবমিলে প্রতি কেন্দ্রে ১১ থেকে ১৩ জন সদস্য থাকবেন।
এর বাইরেও প্রতি ওয়ার্ডে র্যাব ও পুলিশের টিম থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার চাহিদার ভিত্তিতে ২৭টি স্থানে র্যাব ও বিজিবির টিম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। এটি বিশ্বাসযোগ্য হবে বলেও আমাদের আশা রয়েছে।
সচিব আরও বলেন, ল’ অ্যান্ড অর্ডারসহ ভোটের সার্বিক বিষয় নিয়ে আমরা আজ বৈঠক করেছি। ইসির বিশেষ নির্দেশনা হচ্ছে- ল’ অ্যান্ড অর্ডার যেন ঠিক থাকে। জেলা প্রশাসক, এসপি ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনিয়ম মোকাবিলায় বাড়তি কোনো ব্যবস্থা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসির অবস্থান একটাই, সেটি হলো অবাধ, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন যখন হয়, তখন ডোর টু ডোর প্রস্তুতি থাকে। কোথাও কোথাও দু’একটি ঘটনা ঘটে। তৃতীয় ধাপের ভোটে দু’একটি জায়গায় অনিয়ম হয়েছে, তবে তা খুবই সামান্য। সেগুলোর তদন্ত হয়েছে এবং আমাদের কাছে রিপোর্ট এসেছে। এ বিষয়ে কমিশন ওয়াকিবহাল। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কমিশনকে অবহিত করেছি। তিনি আরও বলেন, রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। ভোটকেন্দ্রের যে নিয়ম আছে, সেভাবেই যেন তারা ভোট পরিচালনা করেন।
গোপন কক্ষ সুরক্ষিত নয় মর্মে আগে অনেক অভিযোগ এসেছে। চতুর্থ ধাপের ভোটে ইসির ভূমিকা কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয় নিয়ে যা বলতে পারি, একেবারে ডিআইজি থেকে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি, যেন এমন কোনো কিছু না ঘটে।
এসআর/আরএইচ/জেডএস