চেহারায় প্রাপ্তির উচ্ছ্বাস

কাউন্টারের সামনে হাজারও মানুষের লাইন। কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে জায়গা সংকুলান হওয়ায় সে লাইনে এঁকে-বেঁকে চলে এসেছে বাইরে। লাইন কখন এগোবে, টিকিট কখন পাব, আদৌ পাব কি না- লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মনের মধ্যে যখন এমন সব প্রশ্নের উদ্রেক, ঠিক তখন একজন টিকিট নিয়ে বের হয়েছেন হাজারো উচ্ছ্বাসে। এ যেন দূরে থাকা পরিবারের সঙ্গে মেলবন্ধনের টিকিট, ‘সোনার হরিণ’ও বটে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার কিছু সময় পর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর এমন চিত্র দেখা গেছে।
ফার্মগেট থেকে আসা নাঈম হোসেন টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন রাত ২টায়। টিকিট পাওয়ার পর তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত ২টার সময় এখানে এসেছি। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছি, যাব যশোর পর্যন্ত। টিকিট কাটতে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে, এটা একটা ভোগান্তি।
টিকিট হাতে হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেহেরি খেয়ে এসে লাইন ধরেছি। সকাল ৮টার পর টিকিট বিক্রি শুরু হলেও মাত্র (সকাল ১০টা) আমার টিকিট হাতে পেলাম। ২৭ এপ্রিলের চিত্রা এক্সপ্রেসে পাবনা যাবেন তিনি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে আজ (২৩ এপ্রিল)। একইভাবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ২৪ এপ্রিল (রোববার), ২৯ এপ্রিলের টিকিট ২৫ এপ্রিল (সোমবার), ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) এবং ১ মের টিকিট ২৭ এপ্রিল (বুধবার) বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এবার ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ এই স্লোগান বাস্তবায়নে যাত্রীদের এনআইডি-জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকিট ক্রয় করতে হবে। এনআইডি ছাড়া অন্য কোনো পরিচয়পত্র দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না।
কমলাপুর রেলস্টেশনসহ মোট পাঁচটি স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেনের টিকিট, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট, তেজগাঁও স্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেওয়া হচ্ছে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট এবং ফুলবাড়িয়া (পুরোনো রেলওয়ে স্টেশন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এমএইচএন/জেডএস