একশ ফুট খালের ৯২ ফুটই দখলে

রাজধানীর শ্যামপুর খালের বউবাজার সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় খালের জমি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে একটি পাঁচতলা ভবন, ২০টি দোকান ও বসতঘর। অভিযানে পাঁচতলা ভবনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙে ফেলা হয়।
শ্যামপুর খালের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ডিএসসিসির সার্ভেয়াররা যৌথভাবে নদীর সীমানা নির্ধারণ করেছে। জরিপ অনুযায়ী আমরা দেখেছি, খালের মুখ যেখানে মিলিত হয়েছে, সেখানে খালের প্রশস্ততা ১০০ ফুট থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে আমরা পেয়েছি ৮ ফুট। খালের প্রশস্ততা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অভিযান সম্পর্কে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা খালের সীমানা নির্ধারণ করেছি। এখন সীমানার মধ্যে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, অবৈধ দখলদাররা পুরো খালকে একটি সরু নালায় পরিণত করেছিল। খালটি সামনে ও পেছনে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। আমরা সে সংযোগ ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছি। মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রমে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হয়নি, হবেও না।
অভিযানে উচ্ছেদ করা মালামালের ধ্বংসাবশেষ উপস্থিত সবার সামনে স্পট নিলামে ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়, যা আগামী কর্মদিবসে সিটি করপোরেশনের তহবিলে জমা দেওয়া হবে। এছাড়াও এ সময় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় পাঁচশ টাকা ও মাস্ক না পরিধান করায় আরেক ব্যক্তিকে ২৬৯ ধারায় এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এএসএস/আরএইচ/জেডএস