৩০ এপ্রিলের টিকিট পেতে এখনই লাইন

ঈদ যাত্রার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩০ এপ্রিলের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ৮টায়। কিন্তু টিকিট নামক সোনার হরিণের জন্য সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে, ট্রেনের ২৯ এপ্রিলের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয় সোমবার সকাল ৮টায়, যা দুপুর ১২টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। টিকিট বিক্রি শেষ হওয়ার পরই কিছু লোককে দেখা যায় কাউন্টারের সামনে চাদর পেতে বসে অপেক্ষা করতে। কাছে গিয়ে জানা যায়, তারা ৩০ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিটের জন্য লাইন ধরেছেন।
এদেরই একজন লিমন, রাজধানীর মেরাদিয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বনলতা ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাব, আমার অন্তত ৩টি টিকিট প্রয়োজন। এখানে এসেছিলাম ২৯ এপ্রিলের টিকিটের জন্য। আমি যতক্ষণে কাউন্টারের সামনে পৌঁছেছি, ততক্ষণে ২৯ এপ্রিলের সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। কাউন্টার থেকে জানায় ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে। যেহেতু এখন আর সময় নেই, তাই বাধ্য হয়ে এখনই বসে পড়েছি। রোজা রেখেছি, নামাজ খাওয়া-দাওয়া সব এখানেই করতে হবে আগামীকাল টিকিট না পাওয়া পর্যন্ত।
মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন সেলিম চৌধুরী, ভোর ছয়টা এসেছিলেন টিকিটের জন্য। কিন্তু পাননি। পরিবার নিয়ে বাড়ি যেতে তার টিকিট লাগবে। ট্রেন ছাড়া ঈদের যাতায়াত সম্ভব হবে না। আগামীকালের টিকিট যে করে হোক পেতেই হবে। তাই আজ আর বাসায় যাননি।
শুধু লিমন, সেলিম নয়, এরকম তিন-চার লাইনে আরও প্রায় ১০/১৫ জনকে মঙ্গলবারের টিকিটের জন্য এখন থেকেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তাদের বক্তব্য, যেহেতু অগ্রিম টিকিট বিক্রির কালকেই শেষ দিন, তাই বাসায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, আজ ২৯ এপ্রিল তারিখের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হলো। আগামীকাল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। এর বাইরে আজকে থেকে ২টি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটও বিক্রি শুরু হয়েছে। যার একটি যাবে দেওয়ানগঞ্জ এবং অন্যটি খুলনায়। সবমিলিয়ে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের প্রতিদিন ২৭ হাজার ৭০০ আসনের টিকিট বিক্রি করছি। এর মধ্যে অর্ধেক অনলাইন এবং বাকি অর্ধেক কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়েছে।
এমএইচএন/জেডএস