হাতিরঝিল যেন এক টুকরো আনন্দ নগরী
করোনা বিধিনিষেধের কারণে গত দুই বছর সাদামাটা ঈদ উদযাপন করেছে দেশবাসী। তবে এবার ঈদুল ফিতর উদযাপনে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তাই গত দুই বছরের উদযাপনের দুঃখ যেন এ ঈদে পুষিয়ে নিচ্ছেন রাজধানীবাসী। ঈদের দিন বিকেল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে নগরবাসীর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৩ মে) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন পোশাকের রঙে হাতিরঝিল রূপ নিয়েছে এক টুকরো রঙিন ক্যানভাসে। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে এসেছেন অসংখ্য মানুষ। বড়দের চেয়ে ছোটদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস বেশি দেখা গেছে। শিশু-কিশোরদের দৌড়াদৌড়ি ও হুড়োহুড়িতে গোটা হাতিরঝিল আনন্দ নগরীতে পরিণত হয়েছে।
এদিকে দর্শনার্থীদের আগমন উপলক্ষে হাতিরঝিলের ফুটপাতে ফুসকা-চটপটিসহ নানা রকম মুখরোচক খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঘোরাঘুরি শেষে এসব দোকানে বসে পছন্দমতো খাবার খাচ্ছেন অনেকে।
মো. সাদমান সাইফ (১১) দক্ষিণ শাহজাদপুর থেকে বাবা মার সঙ্গে হাতিরঝিল ঘুরতে এসেছে। বাবার কিনে দেওয়া গ্যাস বেলুন ঘুড়ির মতো আকাশে ওড়াচ্ছে সাইফ।
সাইফের ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য তৃপ্ত চোখে দেখছেন বাবা মো. সাইদুর রহমান। সাইদুর রহমান বলেন, ছেলের এ আনন্দ দেখে খুব ভালো লাগছে। ঈদ আনন্দ আসলে ছোটদেরই, তাদের আনন্দ দেখে আমরা খুশি।
রাজধানীর রামপুরা থেকে পরিবার নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন তন্নী রহমান। তিনি বলেন, সকালে যখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তখন মনটা অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ঘরে বসে ভাবছিলাম এবার ঈদের দিনেও বুঝি বের হতে পারব না। দুপুরের পর রোদ ওঠায় মনে ঈদের খুশি লাগতে থাকে। এখন হাতিরঝিল ঘুরব। হাতিরঝিল থেকে সন্ধ্যার দিকে যাব টিএসসি এলাকায়।
এদিকে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে অনেককে। আবার অনেকে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঘুরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন।
আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আনন্দ-উৎসব চলমান থাকবে রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
এমএসি/এসকেডি