কাগজ খুলতেই বেরিয়ে এলো ৪৬ লাখ সিগারেট

অভিনব কায়দায় কাগজের ভেতর লুকিয়ে বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট আমদানি করায় একটি কন্টেইনার জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। এ চালানে ২৩ হাজার কার্টনে ৪৬ লাখ শলাকা ইজি এবং মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। এছাড়া এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায় ১৪ টন।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে কায়িক পরীক্ষার সময় কন্টেইনারটিতে এসব পণ্য পাওয়া যায়। ঘোষণা ছাড়াই আনা হচ্ছিল এসব সিগারেট। পরে কাস্টমস হাউজের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম চালানটি আটক করে।
কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (এআইআর শাখা) রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালানটিতে শর্তসাপেক্ষে আমদানিযোগ্য পণ্য সিগারেট আমদানির মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করেছিল বলে তিনি জানান।
রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান করিম ট্রেডিং ঘোষণা দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ-ফোর সাইজের কাগজ এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করেন। চালানটি খালাসের লক্ষ্যে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট-সুরমা এন্টারপ্রাইজ কাস্টমস হাউজে বিল অব এন্ট্রি জমা দেয়।
তিনি বলেন, গতকাল রোববার নিয়ম অনুযায়ী পণ্য পরীক্ষা শুরু করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এআইআর টিম।
পরীক্ষাকালে দেখা যায় কনটেইনারের সামনের দিকে রাখা সুসজ্জিত কাগজ দেখিয়ে কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। কন্টেইনারের ভেতরের পণ্য বের করার জন্য সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিকে কাস্টমস কর্মকর্তারা অনুরোধ করলে তারা গড়িমসি শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে কায়িক পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য পাল্টা অনুরোধ করেন।
রেজাউল করিম বলেন, রাতেই পণ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয় এআইআর শাখা। কন্টেইনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৪৮টি পলিথিনে মোড়ানো প্যালেটের প্রতিটিতে ৪৮টি কার্টন রয়েছে এর উপরের স্তরের ১২টি কার্টনে শুধুই কাগজ এবং পরবর্তী ৩৬ কার্টন খুলে উপরে এক রিম এ ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায় এবং কাগজের নিচে আলাদা অন্য একটি কার্টনে পাওয়া যায় অভিনব কায়দায় লুকানো সিগারেট।
তিনি বলেন, কন্টেইনারের প্রথম আটটি প্যালেটে ছিল শুধুই কাগজ এবং নবম প্যালেট থেকে পরবর্তী ৪৮টি প্যালেটে পাওয়া যায় লুকানো সিগারেট।
শর্তসাপেক্ষে আমদানিযোগ্য সিগারেট আমদানি করে প্রায় ১১ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয় বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় কাস্টমস আইনে ব্যবস্থার প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানান তিনি।
এফআর