ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অর্ধশতাধিক এলাকায় ডিএসসিসির চিরুনি অভিযান

ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে শুরু হওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তিন দিনব্যাপী বিশেষ চিরুনি অভিযানের প্রথম দিনে অর্ধশতাধিক এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১০ মে) দিনব্যাপী ২১ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস, রেজিস্ট্রার ভবন, আইবিএ ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, হাকিম চত্বর, গুরুদুয়ারা নানকশাহী ও আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এলাকায় লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
একইভাবে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুলসহ ৮ এলাকায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডিঙ্গি রেস্তোরাঁ থেকে শুরু হয়ে আশপাশের ৭ এলাকায়, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ পার্ক ও ইরানি মাঠসহ আশপাশের ৭ এলাকায়, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাপ্তান বাজার, যোগীনগর, বিসিসি রোড, শশীমোহন বসাক লেনসহ ১০ এলাকায় এবং ৪০ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে প্রায় ৬৯টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। অভিযানে এডিস মশার সেসব আধার ও প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয় এবং আগামীতে এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করা হয়।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর মেরিনা নাজনীন, অঞ্চল-২ এর সোয়ে মেন জো, অঞ্চল-৩ এর বাবর আলী মীর ও অঞ্চল-৪ এর হায়দর আলী, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হক, ১৫ নম্বরের রফিকুল ইসলাম বাবলা, ২১ নম্বরের আসাদুজ্জামান আসাদ, ২৩ নম্বরের মো. মকবুল হোসেন, ৩৮ নম্বরের আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী, ৪০ নম্বরের আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মশক সুপারভাইজাররা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, বৃষ্টির কারণে সীমিত সময়ে কয়েকটি এলাকায় এডাল্টিসাইডিং করা সম্ভব হয়েছে। আগামীকালও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এএসএস/জেডএস