বিএসএমএমইউতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নানা আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ মে) সকাল থেকেই নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন স্তব্ধ বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে ধাবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আগামী দিনে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
কর্মসূচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো প্রমুখসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যা করা হয়। এরপর স্বামী-সন্তানসহ ছয় বছর বিভিন্ন দেশে কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরতে সক্ষম হন শেখ হাসিনা। তার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ছোট বোন শেখ রেহানার কাছে রেখে দেশে ফেরেন তিনি।
দেশে ফিরে লাখো জনতার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছু নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে চলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি আনতে চাই।’
টিআই/এমএইচএস