মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় থাকেন প্রধানমন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানের (একনেক) জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। মঙ্গলবারের কোন অনুষ্ঠান, একনেক অনুষ্ঠান। কারণ এখানে যে কাজগুলো হয়, সেগুলোর উচ্চ মর্যাদার। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোভিডের সময়ে চমৎকার কাজ করায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের কাজটা আমরা করি। আমরা উন্নয়নের কাজ করি। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উপরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকার প্রধানের কাছ থেকে আমরা এ স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা পাওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
উন্নয়নমূলক কাজ অগ্রাধিকার পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খামারিদের প্রণোদনা দেওয়ার কাজটা খুবই ভালো। আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এ ধরনের কাজের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আমি সাক্ষী দিয়ে বলছি- মৎস্য, কৃষি, গ্রামের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হচ্ছে।’ এ ধরনের কাজ অতি উচ্চ অগ্রাধিকার পাবে বলেও মন্ত্রী নিশ্চিত করেন।
খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিচাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলে জানান এম এ মান্নান। করোনার প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্য বাজারজাত, উপকরণ সরবরাহ, মৎস্য খাদ্য ও পোনার অপ্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্যের কারণে মাছচাষিসহ এ দুই খাতের খামারিরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তার কিছুটা হলেও এ প্রণোদনার মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৫ ক্যাটাগরিতে দেশের ৪৬৬টি উপজেলা থেকে যাচাই করে প্রাণিসম্পদ খাতের ৪ লাখ ৭ হাজার ৪০২ জন খামারিকে (ডেইরি, পোল্ট্রি খামারি) ৪৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ৭৫ উপজেলার মৎস্য খাতের ৭৮ হাজার ৭৪ জনকে ৭ ক্যাটাগরিতে ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া শুরু হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন এবং মৎস্য অধিদফতরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের অধীনে এসব প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে মোট ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ জন খামারিকে ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
একে/এমএইচএস