৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার দাবি সরকারি কর্মচারীদের

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৭ মে ২০২২, ১২:৪৫ পিএম


অডিও শুনুন

৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন মহাজোট। 

শুক্রবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে দাবি বাস্তবায়ন মহাজোটের নেতারা বলেন, বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পরিবহন ভাড়া, বাড়ি ভাড়াসহ পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে কর্মচারীদের ২০২০ সালে ৯ম জাতীয় পে-স্কেল অনিবার্য হয়ে পড়েছে। এর পূর্বে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আগামী পে স্কেল প্রদান, আউট সোর্সিং বাতিল, সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারীদের প্রধান দাবি এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রদানসহ ৭ দফা দাবি আমাদের। একই দাবিতে আগামী ৩ জুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমাদের মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন মহাজোটের পক্ষ থেকে ৭ দফা তুলে ধরা হয়। তাদের এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে,

>> জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন পূর্বক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সনের ১০ ধাপে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১.৫ হতে হবে। পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল।

>> ৯ম পে-স্কেল প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা অবিলম্বে দিতে হবে এবং পে-কমিশন কমিটিতে কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত।

>> সরকারি কর্মচারীদের পূর্বের ন্যায় ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল।

>> এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাইরে সব সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি পরিবর্তন করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি দ্রুত বাস্তবায়ন।

>> আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর-প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি আদেশ, অত্যাচার নির্যাতনমূলক ও মিথ্যা মামলা বন্ধ, প্রত্যাহার। উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর। প্রার্থী প্রথা চালুসহ সকল দপ্তরের কর্মরত মাস্টার রোল, কন্টিজেন্স ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর।

>> ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণ দিতে হবে। বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে সকল প্রকার ভাতা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

>> চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩২ এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ন্যায় সকল দপ্তরে পোষ্য কোটা চালু করা।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন মহাজোটের আহ্বায়ক মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব আমজাদ আলী খান, উপদেষ্টা মহিউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান, মুখপাত্র আব্দুল মান্নান বিশ্বাস প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি

Link copied