অবশেষে নিয়োগের সুসংবাদ পেলেন সেই ১২৮৪ প্রার্থী

নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদ খালি না থাকায় দুই বছরে নিয়োগ পাননি এক হাজার ২৮৪ জন। শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাদের কপাল খুলছে। এসব শিক্ষকদের জটিলতা নিরসন করে পার্শ্ববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই প্রেক্ষিতে এসব শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এনটিআরসিএ।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক মতামত পাওয়ার পর এক হাজার ২৮৪ শিক্ষককে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে যোগদান করতে মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়েছে এনটিআরসিএ। তবে সুপারিশের ভিত্তিতে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়াদের বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পদ না থাকার পরও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ দেখিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর বিপরীতে এনটিআরসিএ তাদের এমপিওভুক্তির সুপারিশ করে। কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখেন- তাদের জন্য কোনো পদ শূন্য নেই। প্রতিষ্ঠানের এমন ভুলে তারা কেন এমপিও পাবে না এমন দাবি নিয়ে গত দুই বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ ঘুরেও কোনো সমাধান পাচ্ছিলেন না ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
সর্বশেষ গত বছর জুনে এ সংকট সমাধানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নির্দেশ দিলে ছয় মাসেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এতে চরম হতাশ হয়ে পড়েন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এসব প্রার্থীরা। তাদের এ জটিলতা সমাধানে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিতভাবে মতামত চাওয়া হয়।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত পেয়েছি। তার ভিত্তিতে পদবঞ্চিত এ এক হাজার ২৮৪ জন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে যোগদান করতে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তাদের এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলা জনিত কারণে এনটিআরসিএর অনেক কাজ বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তা সমাধান করতে। শূন্য আসনে নিয়োগ দিতেও আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত পাওয়া গেছে। বর্তমানে চতুর্থ ধাপে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশের সব স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসনে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এনএম/ওএফ