অনুমাননির্ভর তথ্য উন্নয়নের জন্য বড় বাধা : কৃষিমন্ত্রী

অনুমাননির্ভর তথ্য প্রচার কৃষক ও জাতির উন্নয়নে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের খাদ্য দিবসের স্লোগান ‘টেকসই উন্নয়ন সমৃদ্ধ দেশ, নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে বিভিন্ন কুইজে অংশ নেওয়া জয়ীদের মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, অনুমাননির্ভর তথ্য প্রচারে কৃষক ও জাতির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এসব বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, গত বছর দেশে খামারিদের উৎপাদিত দুধ নিয়ে নেতিবাচক প্রচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গবেষণার কথা। অপর্যাপ্ত তথ্য যেন প্রকাশ না পায়, সেদিকে সতর্ক থাকার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ, বীজনীতি ও উত্তম কৃষি চর্চা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফসলে সার, কীটনাশক সর্বনিম্ন পরিমাণে ব্যবহার করার লক্ষ্যে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেন নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন হয়।
তিনি বলেন, খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গবেষণাও বাড়ানো হবে, এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সবার অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকীতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্য পূরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন মেয়াদী কৌশল বাস্তবায়ন করছে। জেলায় জেলায় কাজ চলছে। বাংলাদেশ ফুড টেস্টিং রেফারেন্স ল্যাবরেটরি গড়ে তোলা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, একসময় অনেকেই বলতেন, অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ। কিন্তু তা কাগজ-কলমেই ছিল। তবে এর বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন দেশে চিকিৎসা, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা সফলভাবে সম্ভব হয়েছে।
একে/আরএইচ