৪৮ ঘণ্টা পরও জ্বলছে বিএম ডিপো
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনো নেভেনি। আগুন পুরপুরি নির্বাপণে টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন সেনাবাহিনী সদস্যরাও।
সোমবার (৬ জুন) রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এখনও কিছু কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কনটেইনারের মুখ খুলে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিচ্ছেন। তারপর কনটেইনারগুলোকে আলাদা করে রাখা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের সদস্যরা পালা করে সেখানে কাজ করছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে রোববার (৫ জুন) থেকে কাজ করছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডিপোতে আরও চারটি কনটেইনার রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রাসায়নিক পদার্থ আছে। সেগুলো আলাদা করে রাখা হয়েছে। সেগুলোতে কী ধরনের রাসায়নিক আছে সে তথ্য এখনও জানি না।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এই বিস্ফোরণে হতাহত হন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
এই কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রাসায়নিক থাকায় সেখানে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই রাসায়নিকের কারণেই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার ফাইটারদের।
কেএম/এমএইচএস