বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ

দ্বিতীয় দিনে চলছে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, ফল পেতে সময় লাগবে এক মাস

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ জুন ২০২২, ১১:২২ এএম


দ্বিতীয় দিনে চলছে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, ফল পেতে সময় লাগবে এক মাস

চট্টগ্রামে বিএম ডিপোর কনটেইনারে আগুন ও বিস্ফোরণে নিহত স্বজনদের শনাক্ত করতে দ্বিতীয় দিনের মতো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সিআইডির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ টিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের বুথে ডিএনএ নমুনা নিচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একজনের পরিবার নমুনা দিতে এসেছে। গতকাল ২১ মরদেহের বিপরীতে ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যাদের সন্দেহ আছে তারা এসে নমুনা দিতে পারবে। নমুনা নিয়ে ঢাকায় বিশ্লেষণ করে ফল দেওয়া হবে। ডিএনএ নমুনার ফল পেতে কমপক্ষে একমাস অপেক্ষা করতে হবে। বিএম ডিপোর ঘটনায় কারো স্বজন নিখোঁজ থাকলে তারা এসে এখানে ডিএনএ দিয়ে যেতে পারবেন।

সকালে ডিএনএ নুমনা দিয়েছেন আতিকুল ইসলাম নামে একজনের পরিবারের সদস্যরা। তার মেয়ের ও স্ত্রী থেকে নমুনা নেওয়া হয়।

আতিকুল ইসলাম বিএম ডিপোতে কাজ করতেন। থাকতেন হালিশহরের। তার মেয়ে রেহেলা আক্তার রশ্মি বাবার খোঁজে ডিএনএ টেস্ট দিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, আগুন লাগার পর থেকে বাবার কোনো খোঁজ খবর পাচ্ছি না। বাবার মোবাইলও বন্ধ। তাই ডিএনএ দিতে এসেছি।

আতিকুলের স্ত্রী শাহানাজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামী ডিপোতে কাজ করত। আগুন লাগার পর থেকে তার কোনো খবর পাচ্ছি না। গতকালও হাসপাতাল এসে ঘুরে গেছি। কোনো সন্ধান পাইনি।

dhakapost

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুনের ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল শেষ পর্যন্ত ২৬ জন শনাক্ত হয়েছে। তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও শনাক্ত করা যায়নি ১৫টি মরদেহ। মরদেহগুলো মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। 

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এই বিস্ফোরণে হতাহত হন। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

এই কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রাসায়নিক থাকায় সেখানে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই রাসায়নিকের কারণেই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার ফাইটারদের। আগুন নেভাতে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।

কেএম/জেডএস

টাইমলাইন

Link copied