ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করলেন ড. নাছিম আখতার

মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে এই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ এবং এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ‘ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আজ আমরা স্বাধীন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্য তিনি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহববুব উদ্দিন বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ড. নাসিম আখতার বলেন, ‘৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ক্রান্তিলগ্নেও মুজিব জেলে বন্দি ছিলেন। সে সময় জেলে থেকে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন আহমদ জেলের ভেতর অনশন ধর্মঘট পালন শুরু করেন (১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি)। অনশনের কারণে বঙ্গবন্ধু ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তরিত হন ১৮ ফেব্রুয়ারি।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ছাত্র নেতৃবৃন্দ তাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সময়ে সময়ে জেলখানায় গিয়ে শেখ মুজিবের সঙ্গে পরামর্শ করে আসতেন। ওই সময়ে শেখ মুজিব ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং কার্যত দলের অন্যতম নীতি নির্ধারক। ভাষার এই মাসে শ্রদ্ধাভরে সম্মান করি বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গকৃত শহীদদের। কৃতজ্ঞ চিত্তে স্বীকার করি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদানকে।’
‘মহান এ আন্দোলনের সময়ও এদেশীয় তোষামোদি গোষ্ঠী যে পাকিস্তানি শাসকদের হয়ে কাজ করেছিল’ উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের খণ্ড খণ্ড মিছিলে পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে। ফলে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ড যুদ্ধ শুরু হলে বহু ছাত্র-জনতা আহত হয়। এক পর্যায়ে ছাত্ররা প্রতিবাদ জানানোর জন্য পরিষদ ভবনের দিকে যাওয়ার সময় মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের কাছে পুলিশ গুলি চালিয়ে রফিক উদ্দিন, জব্বার ও আবুল বরকতকে হত্যা করে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার পর একদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়ে ওঠে, অপরদিকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের এদেশীয় তোষামোদি গোষ্ঠীর যোগসাজশে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. সাদেকুল আরেফিন, এবিএম ফারুক, অধ্যাপক ড. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, ড. আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।
ওএফ
