নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন না হওয়ায় উদ্বেগ

নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন থেকে সরে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন নেচার লাভিং পিপল (এনএলপি)।
বুধবার (২৯ জুন) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সভাপতি এহসানুল হক জসীম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন বায়ু দুষণে প্রায়ই শীর্ষ স্থানে থাকে। বিশেষ করে ঢাকা নগরী এবং আরও কিছু শহর ও নগরের বায়ু দূষণের মাত্রা ভয়ানক পর্যায়ে আছে। কিন্তু বায়ু দূষণ প্রতিরোধে আলাদা কোনো আইন নেই। পরিবেশবাদি ব্যক্তি ও সংগঠন এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবির মুখে স্বতন্ত্র একটি আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অবশেষে সরকার অনুধাবণ করেছিল। এমতাবস্থায় নির্মল বায়ু আইনের একটি খসড়াও প্রণীত হয়েছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিবেশ মন্ত্রণালয় নির্মল বায়ু বিল, ২০১৯ প্রণয়নের তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও বিলটি আলোর মুখ না দেখায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছিল। সেই উদ্বেগের মধ্যে জানা গেল মন্ত্রণালয় বা সরকার নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন থেকে সরে এসেছে। আইন না করে তারা একটি বিধিমালা করার দিকে এগুচ্ছে। শিগগিরই বিধিমালাটি হতে যাচ্ছে বলে মিডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে।
নির্মল বায়ু আইনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছিল, সেই খসড়াটি অবিলম্বে আইনে পরিণত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। বিধিমালার চেয়ে আইন অনেক শক্তিশালী। বায়ু দূষণ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, এমতাবস্থায় বিধিমালা দিয়ে কাজ হবে না। আইন প্রণয়ন করে নানা উদ্যোগ নিতে হবে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে। এখনই যদি বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। সরকার যদি বিধিমালাই করতে চায়, করুক। তবে সেটা পরে করুক। নির্মল বায়ু আইন প্রণয়নের পর এই আইনের অধীনে বিধিমালা করতে পারে। আগে স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন করতে হবে।
বায়ু দূষণের কারণে প্রতিদিন দেশে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। মানুষজন নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। চীনেও বায়ু দূষণ অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ২০১৩ সালে তারা আইন প্রণয়ন করে এবং আইনের আলোকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৯ শতাংশ বায়ু দূষণ তারা কমিয়ে আনে। বাংলাদেশেও প্রয়োজন স্বতন্ত্র বায়ু আইন প্রণয়ন এবং আইন প্রণয়নের পরে একে যথাযথভাবে কার্যকরী করতে নানামুখী পদক্ষেপ। আশা করি, সরকার বিধিমালা না করে আইন প্রণয়নের দিকে এগোবে।
এমএইচএন/এনএফ