বন্ধ পাট-সুতা ও বস্ত্রকল আধুনিকায়ন করে চালুর দাবি

পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে পাট-সুতা ও বস্ত্রকলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। কারখানাগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে চালু করলে অবশ্যই লাভজনক শিল্পে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৭ জন শ্রমিক হত্যার স্মরণে 'শ্রমিক হত্যা দিবসের' আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।
শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পাট-সুতা ও বস্ত্রকল খাতে ভুলনীতি, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণ দেখা গেলেও আমরা দীর্ঘদিন ধরে বললেও পুরোনো যন্ত্রের ব্যবহার বন্ধের বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি। এটি আমাদের প্রধান দাবি। আমরা অতিসত্ত্বর আমাদের বক্তব্য জাতির সামনে উত্থাপন করব।
আলোচনা সভায় ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। দাবিগুলো হলো-
১. বন্ধ করা পাট-সুতা ও বস্ত্রকল অটোমেশিনসহ উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে চালু করতে হবে। চাকরিচ্যুতদের মধ্যে কর্মক্ষম শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে।
২. সরকারি অধিগ্রহণ করা, হস্তান্তরিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্র শিল্প শ্রমিকদের আইনসম্মত সমুদয় বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
৩. ব্যক্তি মালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্র শিল্প শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ প্রকাশ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. আগের মতো শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু করতে হবে।
৫. দেশের বিদ্যমান অবকাঠামোগত অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অগ্রগতি এবং সে লক্ষ্যে শ্রমিক-কর্মচারিদের জীবনমানের উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
৬. রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৯৯৪ সালে ১৭ জন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ করে টাকা দিয়েছিলেন। ওই সব দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান, মছিউদদৌল্লা, জেড এম কামরুল আনাম, সিরাজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আইবি/জেডএসআইবি/জেডএস