২৩ লাখ টাকাসহ আটক সেই সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

সাড়ে ২৩ লাখ টাকাসহ আটক কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৩ জুলাই) দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার এজাহারে আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই টাকার উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের চেষ্টা করেছেন তিনি। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আতিকুর রহমান গত ১ জুলাই সকাল নয়টার দিকে একটি এয়ারলাইন্সে করে সপরিবারে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। যাওয়ার সময় তার কাছে আনুমানিক ২০ লাখ টাকা পাওয়া যায় বলে কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত পদক্ষেপ নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। কিন্তু আসামি মো. আতিকুর রহমান প্লেনে উঠে কক্সবাজার বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে নামলে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তাকে আটক করা হয়। এরপর আসামি আতিকুর রহমানকে বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফেরত আনা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা পাওয়া যায়। যার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
কক্সবাজারে সরকারের ৩ লাখ কোটি টাকার ৭২টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিনটি তদন্তে ভূমি অধিগ্রহণে মোট ৭৮ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ দুর্নীতির তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে প্রথমে বদলি এবং পরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আতিকুর রহমানের বাড়ি সিরাজগঞ্জে বলে জানা গেছে। তিনিসহ তিনজন সার্ভেয়ার মহেশখালীতে সরকারের প্রায় ১৫টি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে জমির মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ বাবদ আতিকুর ওই অর্থ নিয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন সংশ্লিষ্টজনেরা।
আরএম/জেডএস