১৫ মণের সিংহরাজার দাম সাড়ে চার লাখ

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশের পশুগুলো হাটগুলো ধীরে ধীরে জমে উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীও জমে উঠছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাবতলীতে গরু, মহিষ, ছাগল ও দুম্বা আসছে। তবে অন্যান্যবার গাবতলীতে উট উঠলেও এবার এখনও দেখা মেলেনি এই প্রাণীটির। এছাড়া দুম্বা আসলেও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) গাবতলী পশুর হাট ঘুরে মাত্র দুইটা দুম্বা দেখা গেছে। তবে গাবতলীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু, মহিষ ও ছাগল আছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিকেলের দিকে হাটে ক্রেতারা আসেন। সকালের দিকে সেভাবে আসেন না। বিকেলের দিকে কিছু ক্রেতা আসেন। পছন্দমতো পশু পেলেই তারা তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহিষের শেডে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন আকারের মহিষ নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। ছোট সাইজ থেকে বড় সাইজের সব ধরনের মহিষই পাওয়া যাচ্ছে গাবতলীতে। ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে চার লাখ টাকার মহিষ গাবতলীতে পাওয়া যাচ্ছে। সাড়ে তিন মণ থেকে ১৫ মণ সাইজের মহিষের দেখা মিলছে এ পশুর হাটে।

মহিষের শেডের দায়িত্বে থাকা মিন্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কুষ্টিয়া থেকে মহিষ নিয়ে এসেছি। আমাদের শেডে সবচেয়ে বড় যে মহিষ আছে তার নাম সিংহরাজা। আমাদের শেডে দুই থেকে শুরু করে সাড়ে চার লাখ টাকা দামের মহিষ আছে। আমাদের শেডের সিংহরাজাই গাবতলীর সবচেয়ে বড় মহিষ।
খোরশেদ নামের গাবতলীর এক মহিষ ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি গাবতলীর স্থায়ী ব্যবসায়ী। এবার আমি ৬০টা মহিষ এনেছি। এখন পর্যন্ত ৩০টা বিক্রি করতে পেরেছি। আমার বিক্রি হওয়া মহিষগুলো কেউ কোরবানির জন্য নিয়েছেন আবার কসাইও নিয়েছে। ঈদে মহিষগুলো বিক্রি করতে না পারলে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিব।
বরিশাল থেকে মহিষ নিয়ে গাবতলীতে এসেছেন ইনাম আলী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে মহিষগুলো নিয়ে গাবতলী বাজারে এসেছি। আমার মহিষগুলো আকারে একটু ছোট। প্রতিটি মহিষই কোরবানি যোগ্য। মহিষগুলোর দাম চাচ্ছি এক লাখ ১৫ হাজার টাকা করে।
আকতার নামের এক ফার্মগেটবাসী গাবতলী বাজারে এসেছেন কোরবানির জন্য পশু কিনতে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার নিয়ত করেছি একটি মহিষ কোরবানি দিব। এজন্য আজই প্রথম গাবতলীতে আসলাম। অনেক মহিষ এসেছে গাবতলীতে। কিন্তু দাম একটু চড়া মনে হচ্ছে। তবে ছোট সাইজের মহিষও আছে। দেখতে থাকি পছন্দ হলে আজই কিনে নিয়ে যাব।
এসআর/আইএসএইচ