নিধি অ্যান্ড লাভলি বাজারজাত করতো তারা
পুরান ঢাকার চকবাজারের রহমতগঞ্জে ত্বক ফর্সাকারী কসমেটিকস তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ কারখানায় মার্কারি, হাইড্রোকুইনোনহ ক্ষতিকারক কেমিক্যালে তৈরি করা হতো দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল পণ্য।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জে হাজী বাল্লু রোডে নিধি কসমেটিকস কারখানায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার, ছয় লাখ টাকা জরিমানাসহ কারখানাটি সিলগালা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
বিএসটিআই বলছে, ছোট্ট একটি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি সব রঙ ফর্সাকারী ব্র্যান্ডের নকল ক্রিম তৈরি হতো এখানে। আইন না মেনে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে অনুমোদনহীন এ কারখানাতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী তৈরি করে সারা দেশে বাজারজাত করা হতো। এসব প্রসাধনী ব্যবহারে ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, অভিযান চালানোর সময় দুজনকে আটক করা গেলেও মালিক পলাতক রয়েছেন। এখান থেকে উৎপাদিত কসমেটিকসগুলো চকবাজারের পাইকারি মার্কেট হয়ে ছড়িয়ে পড়তো সারা দেশে। অভিযানে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ভেজাল কসমেটিকস ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে তিব্বত, নোভা, এমনকি ভারতের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রঙ ফর্সাকারী কসমেটিকস। প্রতিষ্ঠানটি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির আদলে নিধি অ্যান্ড লাভলি বাজারজাত করতো।
তিনি বলেন, আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নাসিম পলাতক রয়েছেন। তিন-চার বছর ধরে তারা এখানে এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিএসটিআই এর অনুমোদন তাদের নেই, তাদের কোনো প্রসাধনীই আসল নয়। তাদের ল্যাব নেই, কেমিস্ট নেই। প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহারে তৈরি তাদের কসমেটিকস পণ্যে রয়েছে মারাত্মক ক্যান্সারের ঝুঁকি।
জেইউ/আরএইচ