মানব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় পঞ্চম বাংলাদেশ

গত তিন দশকে বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। যা ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সূচকের মান মধ্যম সারির দেশগুলোর গড় মানের চেয়ে বেশি। ১৮৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৩৩তম। আগের বছর অবস্থান ছিল ১৩৫ তম।
অন্যদিকে ৮টি দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম এবং পরিবেশের প্রভাবজনিত সমন্বিত মানব উন্নয়ন সূচকে আরও ৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিকভাবে উন্মোচনের ছয় দিন পর আজ বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। মানব উন্নয়ন সমীক্ষা ২০২০ এর এ বছরের শিরোনাম ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: হিউম্যান ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড এনথ্রোপোসিন। এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান আকিম স্টেইনার এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদিপ্ত মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটান। এ বছর শ্রীলঙ্কার অবস্থান এক ধাপ পিছিয়ে ৭২তম হয়েছে। মালদ্বীপ ১০৪তম থেকে ৯ ধাপ এগিয়ে ৯৫তম। ভারত দুই ধাপ পিছিয়ে ১৩১তম ও ভুটান পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১২৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল ও আফগানিস্তান। পাকিস্তান এক বছরের ব্যবধানে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৫৪তম, নেপাল ৫ ধাপ এগিয়ে ১৪২তম এবং আফগানিস্তান এক ধাপ এগিয়ে ১৬৯তম অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এবারের সমীক্ষায় পরীক্ষামূলকভাবে নতুন একটি সূচক সংযোজন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ অতিমারি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে আবির্ভূত হলেও পরিবেশের ওপর মানুষের ক্রমাগত অভিঘাত বন্ধ না হলে, ভবিষ্যতেও মানব জাতিকে এরূপ সংকটের মুখমুখি হতে হবে।
ইউএনডিপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪ বছর, গড় শিক্ষাকাল বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ বছর এবং প্রত্যাশিত শিক্ষাকাল বেড়েছে ৬ বছর। এছাড়া এসময়ে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণও বেড়েছে প্রায় শতকরা ২২০ দশমিক ১ ভাগ।
এবারের মানব উন্নয়ন সূচকে আগের বছরের মতো শীর্ষে অবস্থান ধরে রেখেছে নরওয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। এরপর রয়েছে, হংকং, আইসল্যান্ড, জার্মানি, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড ও ডেনমার্ক। আর সবার পেছনে আছে গায়ানা, লাইবেরিয়া, গিনি বিসাউ, কংগো ও নাইজার।
এসআর/এসএম