বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংহতি জোরদারের আহ্বান

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জুলাই ২০২২, ১০:৩০ এএম


বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংহতি জোরদারের আহ্বান

চলমান বহুমুখী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার এবং সু-সমন্বিত সাড়াদান প্রক্রিয়া গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ) উপলক্ষে আয়োজিত ‘২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির অর্জন ত্বরান্বিত করা : চলমান সংকট মোকাবিলা এবং চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠা’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের একজন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটের ধরণ, মাত্রা ও প্রভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশ্বিক সাড়াদান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।

করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো নানা সংকটের প্রভাবের পাশাপাশি অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের প্রভাব তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। তি‌নি ব‌লেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও যে ঘুরে দাঁড়ানো যায় তা বাংলাদেশ দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ২২ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিয়েছি। আমরা ভ্যাকসিনের জন্যও বিলিয়ন ডলার খরচ করেছি।

শাহ‌রিয়ার আলম ব‌লেন, বাংলাদেশের সমগ্র-সমাজ দৃষ্টিভঙ্গি, জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার, এসডিজি ট্র্যাকার এবং স্থানীয়করণের প্রচেষ্টাগুলো এসডিজি বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার পথ তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ গৃহীত উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জন-কেন্দ্রিক অভিযোজন কৌশলের ওপর আলোকপাত করে প্রতিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সংহতি ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলা ও সংকট ব্যবস্থাপনায় আমরা আজ রোল মডেলে পরিণত হয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘের নেতৃস্থানীয় সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, বহুপাক্ষিক দাতা এবং বেসরকারি খাতকে সদস্য দেশগুলোর জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থন যোগানো, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। যাতে ওই দেশগুলো টেকসই, ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে পারে।

এনআই/এমএইচএস

Link copied