‘দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিতে প্রথম সারিতে বাংলাদেশ’

ব-দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ায় দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকির দিক থেকে প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য দুর্যোগ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ বিষয়ক পরিসংখ্যানে জেন্ডার ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুতকারী ও ব্যবহারকারীদের জন্য পদ্ধতিগত নির্দেশনা ও নিয়ম-কানুন বিষয়ে ওই সেমিনারে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ফলে ঘনঘন দুর্যোগে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের অভিযোজন সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।
বাংলাদেশ সেন্টার অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ একটি মহাদুর্যোগের মধ্যে থাকলেও বাংলাদেশ দুটি মহাদুর্যোগের মধ্যে রয়েছে। এর একটি কোভিড-১৯, অন্যটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশ সব সময় বন্যা, খরা, ভাঙন ও সাইক্লোন মোকাবিলা করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে কোনো কোনো বছরে ৫ বার বন্যা হয়। এর ওপর করোনার থাবা। তারপরও বাংলাদেশ সকল দুর্যোগ মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে। নতুন পরিকল্পনার জন্য দরকার ডেটা।
বাংলাদেশকে দুর্যোগ মোকাবিলায় বড় উদাহরণ উল্লেখ করে আতিক রহমান বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ইনজাস্টিসের শিকার। ধনী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন করছে অথচ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে তারা বিপদে পড়ছে না।
ইউএন উইমেন’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি দিলরুবা হায়দার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নারী ও শিশু সব সময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশসহ বিশ্বে সেভাবে জেন্ডার ইন্ডিকেটর নেই। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণে নারী-পুরুষের ভিন্নতা রয়েছে। আশা করছি বিবিএস’র নতুন উদ্যোগে এটা পরিষ্কার হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে মডেল। দুর্যোগের সময় নারী ও শিশু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা নিরুপণ করা দরকার।
এসআর/এসআরএস