সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনে সম্মত বাংলাদেশ-ভারত
সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের স্থানান্তর ও ভিসা সংক্রান্ত অন্যান্য প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ে করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। পাশাপাশি উভয়পক্ষ বন্দীদের সার্বক্ষণিক তথ্য বিনিময়ে আগের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় কনস্যুলার সংলাপে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
সংলাপে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস এবং নয়া দিল্লির পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (কনস্যুলার, পাসপোর্ট ও ভিসা) ড. আউসফ সাঈদ।
সংলাপে দ্বিপাক্ষিক কনস্যুলার ইস্যুগুলো গভীরভাবে আলোচনা করা হয়। আলোচনার মধ্যে ছিল- দুই দেশের নাগরিকদের, বিশেষ করে পাচার হওয়া নারী ও শিশুদের দ্রুত প্রত্যাবাসন, নির্বিঘ্নে প্রস্থান, পারমিট ইস্যু করা এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য কনস্যুলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা।
ঢাকার পক্ষে ভিসা ব্যবস্থায় নমনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভারত কর্তৃক প্রয়োগকৃত ওভারস্টে ফাইন স্ট্রাকচারের পার্থক্য সমাধানের জন্য ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশি রোগীদের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজ করার জন্যও ভারতকে অনুরোধ করা হয়।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সব বন্দরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার অনুরোধও ঢাকার পক্ষ থেকে করা হয়।
সংলাপ নিয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এক বার্তায় জানায়, পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভিসা সম্পর্কিত রিভাইজড ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্টসের (২০১৮) অধীনে থাকা নীতিমালা আরও নিবিড় বাস্তবায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। সেই সঙ্গে ভিসা পদ্ধতি, প্রবেশ ও প্রস্থানের নিয়মগুলো উদার করার মাধ্যমে ভ্রমণ আরও সহজ করে তোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ।
সংলাপে ভারতের পক্ষ থেকে পরবর্তী তথা চতুর্থ কনস্যুলার সংলাপটি নয়া দিল্লিতে করার জন্য প্রস্তাব করা হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম কনস্যুলার সংলাপ ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় কনস্যুলার সংলাপ গত বছর নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়।
এনআই/ওএফ