শেখ কামালকে নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার চালিয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেছেন, শেখ কামালের পদ-পদবি নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। তিনি ছাত্রলীগের কেবল সদস্য ছিলেন, সে অবস্থাতেই তিনি উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি সময়েই মিছিল-মিটিংয়ে কর্মী থেকে সংগঠক হিসেবে দেশের জন্য কাজ করে গিয়েছিলেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামালকে নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার চালিয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শেখ কামাল: ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মান্নান বলেন, শেখ কামাল প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ছিলেন কিন্তু তিনি আদর্শবান মানুষ ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের সদস্য হয়েছেন, চাইলে সভাপতি হতে পারতেন কিন্তু তা হননি। শেখ কামাল ছিলেন নাট্যকার, একই সাথে ক্রীড়া সংগঠক। তিনি সত্তরের দশকে আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করে বিদেশি কোচ নিয়ে এসে ক্রীড়াঙ্গনে আলোড়ন তুলেছিলেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, শেখ কামালের সাথে সেদিন যারা ছিলেন তারা কেন সেদিনের ঘটনা বলেন না। তারা আজও তো আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক আজ। কঠিন সময় পার করেছে আওয়ামী লীগ। শেখ কামালকে নিয়ে কুৎসা রটিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীরা। শেখ কামালকে নিয়ে আমরা স্কুল পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতা করতে পারি। তাকে কেবল জন্মদিনে বা মৃত্যু দিনে কেন স্মরণ করতে হবে? তাকে সারাবছরই স্মরণ করতে পারি নানা আয়োজনের মাধ্যমে।
স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, শেখ কামাল ব্যতিক্রমী ছিলেন। আবাহনী সংগঠিত করেছেন তিনি। কিন্তু তিনি তার সভাপতি হননি। বিভিন্ন সংগঠন করেছেন কিন্তু সংগঠনের প্রধান পদে আসেননি। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে আমাদের বিরোধীরা। আমরা ২১ বছর সংগ্রাম করেছি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য। শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়ত বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এতদিন লাগতো না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, শেখ কামাল ২৫ মার্চ রাতে বাড়ি ত্যাগ করে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান যুদ্ধে যোগ দিতে। এরপর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে শেখ কামালকে নিয়ে গেলে তিনি তাকে বলেন আমার দেশমাতাকে মুক্ত না করে অন্যকিছু করব না। শেখ কামাল অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। যুব সমাজ, নতুন প্রজন্ম যেন তার মতো সুনাগরিক হয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা করেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সদস্যসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আইবি/এসকেডি