বিনম্র শ্রদ্ধায় চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে শোক দিবস

বিনম্র শ্রদ্ধা এবং শোকাবহ পরিবেশে চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।
এ উপলক্ষে সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজনে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেনন মাতৃসদন হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য বিভাগ। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সকালে শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজন করা হয়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। সশ্রদ্ধ সালাম জানান পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়সহ জেলা পুলিশ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এই দিনে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯ জন শহীদ হয়েছিলেন। ঘাতকদের একটি উদ্দেশ্য ছিল, জাতির পিতার আদর্শ মুছে ফেলা। একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা যেতে পারে কিন্তু তার আদর্শ কখনো নিশ্চিহ্ন করা যায় না, হত্যা করা যায় না। বঙ্গবন্ধু ৩ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন, সেই তিন বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছিল। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আবার দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনেছেন। অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের এই পর্যন্ত যে অর্জন আমি মনে করি তা বিস্ময়কর ও সারা পৃথিবীর মধ্যে সাফল্য অর্জনকারী দেশ হিসেবে নিজেদের বিবেচনা করছি। ২৮০০ ডলার মাথাপিছু আয়ের মাইলফলক অর্জন করছি। ২০৩০ সালে আমাদের টার্গেট হচ্ছে উচ্চ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তা অর্জন করা সম্ভব হবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কৃষিখাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ঘাতকরা হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে টেনে নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ার যে প্রত্যয় সেটা বাস্তবায় করতে চাই। একটি নিরাপদ দেশ গড়া আমাদের অঙ্গীকার।
এর আগে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় শিল্পকলা একাডেমি থেকে শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
কেএম/এসএম