সংকট মোকাবিলায় সম্পদের সুষম ব্যবহার করতে হবে : চুয়েট ভিসি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলছেন, বিগত দেড় দশক আগেও বাংলাদেশ একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল। সেই দৈন্যদশা থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছে। দেশকে তিনি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দেশের সীমিত সম্পদের সুষম ব্যবহার ও টেকসই উন্নয়নের পথে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারি নুরুল্লাহ। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকাল ৯টায় চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম সঙ্গে ছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যানরা, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রভোস্টরা, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় স্মারক বৃক্ষরোপণ করা হয়।
কেএম/এসএসএইচ