প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ধর্ষণ

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়েরের পর মূল অভিযুক্ত আজমাইন আজিম আয়ানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর পিতা। দুপুরের দিকে খুলশী এলাকার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে আজিম আয়নকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
বর্তমানে ওই ছাত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলায় মোট তিনজনেক আসামি করা হয়। বাকি দুজন হলেন- তারেক আজিজ (২২) ও মোকারাম হোসেন (২২)। তারা ধর্ষণের সহযোগিতা করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওআর নিজাম রোডের একটি বাসায় ওই ছাত্রী তার সহপাঠীসহ ১৫ দিন ধরে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলেন। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে জোর করে ৩নং রোডের মাথা থেকে ১নং রোডের ১৪নং বাড়ির ছাদে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্ত আজমাইন আজিম আয়ান।
আজমাইন আজিম দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু মেয়েটি তা প্রত্যাখ্যান করে। ওই ঘটনায় মেয়েটিকে মারধরও করে আজিম। মেয়েটি গত ডিসেম্বরে আত্মহত্যারও চেষ্টা করে। বিষয়টি আজিমের পরিবারকে জানালে তারাও তাচ্ছিল্য করে মেয়েটির পরিবারকে অপমান করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সেখানে আরও বলা হয়, বুধবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে আসলে মেয়েটির সঙ্গে থাকা সহপাঠীকে মারধর করে আটকে রাখে আজিমের সহযোগীরা। মেয়েটিকে জোরপূর্বক ওআর নিজাম রোডের ১৪নং বাড়ির ছয়তলার ছাদে নিয়ে প্রথমে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে ধর্ষণ করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে মেয়েটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, আসামি আজমাইন আজিমকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেএম/এমএআর