মশা বংশবিস্তারের পরিবেশ থাকায় জরিমানা ৮১ হাজার টাকা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ মশক নিধন অভিযানের পঞ্চম দিনে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ৬ হাজার ২২৩টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয় ও স্থাপনা পরিদর্শন করেছে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট টিম। এর মধ্যে ১৬টিতে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
অভিযানে ৪ হাজার ৩১৬টি স্থানে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ৫টি মামলায় মোট ৮১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে ভবন মালিকদের কাছ থেকে।
ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল ১) এদিন ৭৭০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬০০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক দেওয়া হয়। ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ৪টি মামলায় ৬১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর ২ অঞ্চলে (অঞ্চল ২) ৮০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল ৩) ১ হাজার ৭৮০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ১৮৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক দেওয়া হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে একটি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর ১০ অঞ্চলে (অঞ্চল ৪) ২১৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৮০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক দেওয়া হয়। কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল ৫) ১৫৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল ৬) ১ হাজার ৩৪৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ১৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল ৭) ৬৭৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৫১৭টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল ৮) ৭৭১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪৬৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল ৯) ৩৯০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩৪০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল ১০) ৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানের পাশাপাশি মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
এএসএস/আরএইচ