ডিমের দাম বৃদ্ধি, চক্রের বিষয়ে উপর মহলে জানাবে ভোক্তা অধিকার

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে ডিম ও পোল্ট্রি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি মহল ‘কারসাজি করে’ অস্বাভাবিক মূল্য বাড়িয়েছে। সেই অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে সরকারের উপর মহলে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যেন না হয় সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভোক্তা অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পোল্ট্রি খাতের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, শতকরা হিসাবে এক রাতেই ডিমের দাম ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত ১০ দিন ধরে টপ অব দ্য কান্ট্রি ছিল ডিমের দাম। জনগণের ধারণা অত্যন্ত পরিষ্কার। বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, সবকিছু খুঁজে বের করার পর ডিমের মূল উৎসে গিয়ে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছি না। সে কারণে আমরা আপনাদের ডেকেছি। আমি সত্যিটা উদঘাটন করতে চাই। জনগণের কাছে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সে কারণে একটা ব্যবস্থা নিতেই হবে।
আরও পড়ুন: ডিমের হালি এখন ৪০ টাকা, পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত
মহাপরিচালক বলেন, কালো হাত যেগুলো ছিল সেগুলো যাতে আর না বাড়তে পারে সেজন্য আমরা অ্যাকশন নেব। আপনারা বলতে পারেন আমরা ভয় পাচ্ছি। আমি মনে করি, যারা এর সঙ্গে জড়িত তারাই ভয় পায়। পরিবহনের কথা বলে যারা বাজার মেনিপুলেট করেছে তাদের চিহ্নিত করেছি। সার্বিক প্রতিবেদন আমরা সরকারের উপরের মহলে দেব। যেসব তথ্য পেয়েছি সেগুলো আমরাও বুঝে গেছি, আপনারাও বুঝে গেছেন। এখন সরকারের কাছে রিপোর্ট যাবে।
ভোক্তা অধিকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ডিজেলের মূল্য বাড়ার কারণে ময়মনসিংহের মতো দূরের জেলাগুলো থেকে ঢাকায় ডিম পরিবহনে ডিমপ্রতি খরচ বেড়েছে ৩ থেকে ৪ পয়সা। অথচ এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন অন্তত ২ টাকা ৭০ পয়সা।
অনুষ্ঠানে প্যারাগন, আফতাব বহুমুখী ফার্ম, কাজী ফার্মসহ বেশ কয়েকটি বড় উৎপাদনকারী ও করপোরেট পর্যায়ের ডিম খামারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এসএসএইচ