চা-শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান

অবিলম্বে চা-শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরিসহ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ।
শনিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর তোপখানা রোডের বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের এক বিশেষ সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সংঘের সহ-সভাপতি মো. খলিলুর রহমান বলেন, গত ১৯ দিন যাবত চা-শ্রমিকরা খেয়ে না খেয়ে জীবন বাজি রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি চালিয়ে আসছেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন চা-শ্রমিকের সর্বোচ্চ মজুরি দৈনিক ১২০ টাকা। চা-শিল্পের ১৬৮ বছরের ইতিহাসে চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৬৮ টাকাও হয়নি। চা-শ্রমিকদের ১৯ দিনের কঠিন সংগ্রামের পর প্রধানমন্ত্রী মালিক পক্ষের সাথে চা-শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আলোচনায় বসছেন। চা-শ্রমিকরা অধীর অপেক্ষায় থাকলেও অতীতের নির্মম অভিজ্ঞতা সচেতন মহলকে খুব আশাবাদী করতে পারছে না। কারণ নিকট অতীতে মালিকদের প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী মাত্র ৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১৪৫ টাকায় চা-শ্রমিকদের কাজে যোগদানের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমরা ন্যায্য মজুরি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য চা-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি